মরনঘাতী ডেঙ্গু জ্বর বরিশালে ছড়িয়ে পড়ছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এ যাবত ৮জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। শেবাচিম হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত জুনে বরিশাল নগরীর ঝাউতলার নাজমুল হাসানের পুত্র রিফাতুল ইসলাম ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। তাকে দ্রুত ভর্তি করা হয় শেবাচিম হাসপাতালে। রিফাত সুস্থ্য হলেও বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী আছে ৮জন। গত ১৬ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন আরও ৪ জন। তারা হচ্ছেন- নগরীর কাউনিয়া এলাকার মেজবাহ উদ্দিন (২২) বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আফনান আশরাফি (২০) বাকেরগঞ্জ উপজেলার আরিফুল ইসলাম (৪৮) ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের অরুন সুতার (২৮)। গত ১৯ জুলাই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মো. ফোরকান (১৯), বানারীপাড়া উপজেলার গিয়াস উদ্দিন (৩০) । গত ২১ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন বরিশাল সদর উপজেলার তাজুল ইসলাম (২৩) ও বরিশাল নগরীর কলেজ এ্যাভিনিউ এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন রুবেল (২৭)। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি জটিল নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা.বাকির হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বর্তমানে বেড়েছে। তবে বরিশালে ডেঙ্গু জটিল আকার ধারণ করেনি। তিনি বলেন, জ্বর হলে কোনো অবহেলা করা যাবে না। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এদিকে এমন পরিস্থিতি বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মশক নিধন ও সপ্তাহব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ঘোষনা করেছেন। এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এছাড়াও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সিটি করপোরেশনের সকল কাউন্সিলর, সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক, সুধীজনদের নিয়ে সভা ড়েকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান।


